
নিজস্ব প্রতিবেদক
সত্য কথার বলার কারণে ধমকানো হচ্ছে, মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, আমি এসব কথা বললেই কেন্দ্রের নেতারা ক্ষেপে যান। ১৬ জানুয়ারির ভোটে যে কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠবে, সঙ্গে সঙ্গে সে কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হয়ে যাবে। আমি যদি অনিয়মের ভোটের সঙ্গে জড়িত থেকে বিজয়ী হই, তবে সেই দিনেই যেন আমার মৃত্যু হয়।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) বসুরহাটের রূপালী চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা কাদের বলেন, ফেনীর জনপ্রিয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা একরামকে গুলি করে গাড়িতে রেখে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার করা হয়নি। তার পরিবার বিচার পায়নি। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীতে টেন্ডারবাজি, নিয়োগ ও বদলী বাণিজ্য করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন। আমাকে ধমকায়, আমাকে মেরে ফেলবে!
- আরও পড়ুন: ওবায়দুল কাদেরকে হুশিয়ার করলেন কাদের মির্জা
- শেখ হাসিনা ছাড়া দলে কেউ অপরিহার্য নয়: ছোট ভাই প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের
- সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এমপিরা পালানোর দরজা খুঁজে পাবেন না: ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, চামচারা শেখ হাসিনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমার বাবা গরিব স্কুল শিক্ষক ছিলেন। আমরা দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছি।
কলেজ জীবনে হোস্টেলে থেকে, ঈদের দিনেও নতুন জামা তো দুরের কথা না খেয়ে থেকেছি এবং রাজনীতি করেছি। আমি গরীবের কষ্ট বুঝি।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ ভোটে যদি আমাকে ভালো লাগে তবে নৌকায় ভোট দেবেন। আমি হেরে গেলে প্রতিপক্ষকে অভিনন্দন জানাব।
আমাকে, আমার ভাই মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালো না লাগলে তাদের নাম হৃদয়ে ধারণ না করলেও চলবে,
কিন্তু জীবন ও যৌবন উৎসর্গ করে এই দেশকে যিনি স্বাধীন করেছেন, সেই বঙ্গবন্ধুর কথা, তার নীতি আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করবেন।
না হয় বেইমান হিসেবে পরিচিতি লাভ করবেন।
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বলেন, নির্বাচনে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটরা নিরপেক্ষ থাকবেন। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ যদি অনিয়ম করে তার খবর আছে।
তিনি বলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী ও তার ছেলে সাবাব চৌধুরী বাড়িতে অস্ত্র এনেছে।
যদি নির্বাচনের দিন কোনো লোক মারা যায় কিংবা কোনো লোক আহত হয় অথবা কারও ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়, তবে ডিসি,
এসপি ও রিটার্নিং কর্মকর্তার রেহাই নেই।’
ওবায়দুল কাদেরের উন্নয়নের প্রশংসা করেছে বসুরহাট পৌরসভার এই মেয়রপ্রার্থী বলেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, বসুরহাট ও কবিরহাট
এলাকার এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি অন্যায় অসত্যের বিরুদ্ধে কোনো আপোষ করব না।
আগামী ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনকে অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু হতে হবে।
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক যুবলীগ নেত্রী আমাকে মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন,
হুমকি দিয়েছেন। মোবাইল প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ওই নারীর নাম ঠিকানা পরিচয় পাওয়া গেলেও, ডিসি এসপি এবং নির্বচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এসময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান, নূর নবী চৌধুরী,
নাজমুল হক নাজিম, জামাল উদ্দিন, শিল্পপতি বাবু অরবিন্দ ভৌমিক, শিল্পপতি গোলাম শরিফ চৌধুরী,
পিপুল আজম পাশা চৌধুরীসহ বসুরহাট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সুলতান নাছির উদ্দিনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আমাদের ফেসবুক পেজ লাইক করুন: https://www.facebook.com/Polnewsbd/