নিজস্ব প্রতিবেদক
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ-ভারত একে-অপরের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধার সম্পর্কের একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতের সিমলায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের দশম রাউন্ডের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
এবারের সংলাপের শিরোনাম ‘ভারতে বঙ্গবন্ধুর ভিশন-বাংলাদেশ মৈত্রী পুনর্নির্মাণ’।
দুই দিনব্যাপী সংলাপটি আয়োজন করেছে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপ প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য উভয় দেশের থিঙ্কট্যাঙ্ক (নীতিনির্ধারক) এবং সুশীল সমাজসহ মূল স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করার একটি ফোরাম।
২০১৯ সালে কক্সবাজারে নবম দফা সংলাপের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং, গভর্নিং কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সদস্য রাম মাধব।
শাহরিয়ার আলম এ অঞ্চলে এবং এর বাইরেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের অটল অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতির দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে, যাতে প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব জনগণের কল্যাণে অগ্রসর হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার সম্পদ ও শক্তি উৎসর্গ করতে পারে।
মানুষে মানুষে যোগাযোগের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরিতে নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা তুলে ধরেন।
এছাড়া বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের অংশীদারদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী,
সংসদ সদস্য মির্জা আজম, সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানসহ অন্যদের মধ্যে সংলাপে অংশ নিয়েছেন।
ফেসবুক পেজ লাইক করুন: https://www.facebook.com/Polnewsbd/
আমাদের টুইটার প্রোফাইল ফলো করুন: https://twitter.com/BdPolitical